Sunday, February 12, 2012

TOPICS

  
    ফরেক্স কি?
    কি ট্রেড করা হয়?
    ফরেক্স মার্কেট বেসিক
    পিপস এবং পিপেটিস
    লট/ভলিউম
    টাইমফ্রেম
    স্প্রেড, স্টপ লস এবং টেক প্রফিট
    লিভারেজ কি?
    কারেন্সি জোড়/পেয়ার
    কিভাবে ফরেক্সে লাভ/লস হয়
    ডেমো অ্যাকাউন্ট কি? কিভাবে ডেমো অ্যাকাউন্ট ওপেন করবেন?
    আপনার প্রথম ট্রেড

আরও জানুন

    অ্যাকাউন্ট ওপেনিং ইনফর্মেশন
    অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন
    ডিপোজিট এবং উইথড্র
    স্ক্যাল্পিং

ট্রেডিং মোটিভেশন

    মানি ম্যানেজমেন্ট
    ফরেক্সে লসের কারন
    ১ জন ফরেক্স ট্রেডারের আত্মকাহিনী
    ট্রেডার হওয়ার ৫টি ধাপ

মার্কেট অ্যানালাইসিস

    অ্যানালাইসিস কি?
    ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস
    টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস
    সেন্টিমেন্টাল অ্যানালাইসিস

ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস

    নিউজ ট্রেডিং
    নিউজ কিভাবে বুঝবেন?
    নিউজ ইম্প্যাক্ট

টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস

    সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স
    ট্রেন্ড লাইন
    চ্যানেল
    পিভট পয়েন্ট

ইন্ডিকেটর

    ইন্ডিকেটর কি?
    Bollinger Bands
    Parabolic Sar
    Stochastic
    RSI
    ADX
    মেটাট্রেডারে ইন্ডিকেটর ইন্সটল

মেটাট্রেডারে ইন্ডিকেটর ইন্সটল করা

পূর্বে যে ইন্ডিকেটর গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো মেটাট্রেডারের ডিফল্ট ইন্ডিকেটর। এছাড়াও ইন্টারনেটে অনেক ইন্ডিকেটর পাওয়া যায়। বিডিপিপসের ইন্ডিকেটর সেকশনেও অনেক ইন্ডিকেটর রয়েছে।
যেভাবে মেটাট্রেডারে অতিরিক্ত ইন্ডিকেটর যোগ করবেনঃ
  1. প্রথমে আপনার ইন্ডিকেটরটি কপি করুন। ইন্ডিকেটর সাধারানত mq4, ex4, mq5, ex5 ফরম্যাটে হবে।
  2. তারপর যেই ফোল্ডারে আপনার মেটাট্রেডার সফটওয়্যারটি আছে সেই ফোল্ডারে যান।
  3. তারপর নিচের ধাপসমূহ অনুসরন করুনঃ
    C:\Program files\[MetaTrader-folder]\experts\indicators
  4. তারপর indicators ফোল্ডারে ইন্ডিকেটরটি পেস্ট করুন।



  1.  তারপর আপনার মেটাট্রেডার সফটওয়্যারটি রিস্টার্ট করুন।
  2. ইন্ডিকেটরটি আপনার চার্টে যোগ করার জন্য আপনার মেটাট্রেডার সফটওয়্যার থেকে Insert > Indicators > Custom. তারপর আপনার ইন্ডিকেটরটি সিলেক্ট করুন।



 

ADX

The Average Directional Index, অথবা ADX ইন্ডিকেটরটি আপনাকে বর্তমান ট্রেন্ডের দৃঢ়তা সম্পর্কে অবহিত করবে। এটা আপনাকে মার্কেট আপট্রেন্ডে না ডাউনট্রেন্ডে আছে তা বলে দিবে না, কিন্তু মার্কেট কি একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে ঘুরছে না মার্কেটে নতুন কোন ট্রেন্ড তৈরি হতে যাচ্ছে তা জানতে আপনাকে সাহায্য করবে।
এতে ০ থেকে ১০০ এর স্কেল রয়েছে। ২০ এর নিচে রিডিং নির্দেশ করে বর্তমান ট্রেন্ডটি দুর্বল, এবং ৫০ এর ওপরে রিডিং নির্দেশ করে যে বর্তমান ট্রেন্ডটি যথেষ্ট শক্তিশালী।
নিচের চার্টটি দেখুনঃ


ওপরের উদাহরণে দেখুন, সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ADX ২০ এর নিচে ছিল। তখন প্রাইস একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে।
জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে ADX ৫০ এ চলে গিয়েছিল এবং নির্দেশ করেছে যে একটি শক্তিশালি ট্রেন্ড গঠিত হতে পারে। এরপর কি হয়েছিল? চার্টে দেখুন। শক্তিশালি ডাউনট্রেন্ডের ফলে EURCHF ৪০০ পিপস কমে গিয়েছিল।
সুতরাং, যে এই ট্রেন্ডের দৃঢ়তা সম্পর্কে অবহিত ছিল, সে কিন্তু ডাউনট্রেন্ড দেখে সহজেই নিশ্চিন্তে সেল অর্ডার ওপেন করেছে এবং প্রায় ৪০০ পিপসের মত লাভ করেছে।
পরবর্তী উদাহরণটি দেখুনঃ



প্রথম উদাহরণটির মতই, ADX অনেকক্ষণ ২০ এর নিচে ছিল এবং তখন EURCHF রেঞ্জিং করছিল, কিন্তু যখন হঠাৎ ADX ৫০ এর ওপরে উঠে আসে, এবং EURCHF আপট্রেন্ডের ফলে অনেক বেড়ে যায়।
ADX ইন্ডিকেটর কিন্তু আপনাকে কখনই বলবে না যে কখন বাই করতে হবে অথবা কখন সেল করতে হবে। এটা আপনাকে বলে দিবে যে সম্ভাব্য বা বর্তমান ট্রেন্ডে যে আপনি ট্রেড করতে চাচ্ছেন, তা নিরাপদ কিনা।
ADX এর সাহায্যে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে কখন আপনার ট্রেডটি ক্লোজ করা উচিত। যখন ADX ৫০ থেকে কমে যেতে থাকবে, তখন আপনাকে বুঝতে হবে যে বর্তমান ট্রেন্ডটি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, তাই তখন আপনি আপনার প্রফিট লক করতে পারেন।
আপনি ADX কে অন্য একটি ইন্ডিকেটরের সাথে ব্যবহার করতে পারেন যা আপনাকে বলে দিবে যে মার্কেট কি আপট্রেন্ডে না ডাউনট্রেন্ডে।

RSI

Relative Strength Index, অথবা RSI, ইন্ডিকেটরটি stochastic এর মতই একটি ইন্ডিকেটর যা মার্কেটের overbought বা oversold অবস্থা নির্দেশ করে। RSI এ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কেল রয়েছে। ৩০ এর নিচে রিডিং oversold নির্দেশ করে, এবং ৭০ এর ওপর রিডিং overbought নির্দেশ করে।


কিভাবে RSI ব্যবহার করে ট্রেড করতে হয়

RSI ইন্ডিকেটরটি আপনি stochastic এর মত করেই ব্যবহার করতে পারেন। আমরা টপ এবং বটম পয়েন্টগুলোকে ব্যবহার করে জানতে পারি মার্কেট কি overbought না oversold.
নিচে একটি EURUSD এর 4 Hour চার্ট রয়েছেঃ


চার্টে দেখুন EURUSD এর দাম ঐ সপ্তাহে অনেক কমেছে, ২ সপ্তাহে প্রায় ৪০০ পিপসের মত কমে গেছে।
৭ জুনে প্রাইস ১.২০০০ এর নিচে ছিল। একই সময়ে RSI ৩০ এর নিচে চলে গিয়েছিল। এটা সিগন্যাল দিয়েছে যে সম্ভবত মার্কেটে আর কোন সেলার নেই এবং হয়তো এখন সবাই বাই এর দিকে যেতে পারে। এরপর প্রাইস ওপরের দিকে উঠে গেছে এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অনেক বেড়ে গেছে।

RSI এর সাহায্যে ট্রেন্ড নির্ধারণ করাঃ

RSI এর মাধ্যমে আপনি মার্কেটে নতুন কোন ট্রেন্ড সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন। আপনার যদি মনে হয় মার্কেটে নতুন কোন ট্রেন্ড তৈরি হতে যাচ্ছে, দেখুন যে RSI কি ৫০ এর ওপরে না নিচে। আপনি যদি মার্কেটে সম্ভাব্য আপট্রেন্ড আশা করেন তবে নিশ্চিত হয়ে নিন যে RSI ৫০ এর ওপরে কিনা। আর আপনি যদি মার্কেটে সম্ভাব্য ডাউনট্রেন্ড আশা করেন তবে নিশ্চিত হয়ে নিন যে RSI ৫০ এর নিচে আছে কিনা।


 চার্টটি দেখে মনে হচ্ছে যে মার্কেটে সম্ভাব্য ডাউনট্রেন্ড তৈরি হতে যাচ্ছে। ডাউনট্রেন্ড নিশ্চিত করার জন্য আমরা এখন RSI ৫০ এর নিচে নামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারি। যখন RSI ৫০ ক্রস করে নিচে নামবে, তখন আমরা মোটামুটি নিশ্চিত হতে পারবো যে মার্কেটে ডাউনট্রেন্ড শুরু হয়েছে।

Stochastic

Stochastic হল আরেকটি ইন্ডিকেটর যা আমাদের কখন ট্রেন্ডের সমাপ্তি হতে পারে তা নির্দেশ করে।
Stochastic মার্কেট overbought না oversold তা নির্দেশ করে।


Stochastic ব্যবহার করে কিভাবে ট্রেড করতে হয়ঃ

Stochastic আমাদের বলে দেয় কখন মার্কেট overbought এবং কখন মার্কেট oversold.
Stochastic এ ০ থেকে ১০০ পর্যন্ত একটি স্কেল আছে। যখন Stochastic লাইন ৮০'র ওপরে থাকে (অর্থাৎ লাল ডট ডট লাইনের ওপরে থাকে), তখন বুঝতে হবে যে মার্কেট এখন overbought. আর যখন Stochastic লাইন ২০'র নিচে থাকে (অর্থাৎ নীল ডট ডট লাইনের নিচে থাকে), তখন বুঝতে হবে যে মার্কেট এখন oversold.
আর আমরা জানি যে মার্কেট যখন oversold থাকে তখন আমরা বাই করি, এবং মার্কেট যখন overbought থাকে তখন আমরা সেল করি।


 ওপরের চার্টটি দেখুন। Stochastic অনেকক্ষণ থেকেই overbought অবস্থা দেখাচ্ছে। এই চার্ট দেখে আপনার কি মনে হচ্ছে? প্রাইস এরপর কোথায় যেতে পারে?


আপনার উত্তর যদি হয়ে থাকে যে প্রাইস এখন কমবে তাহলে আপনি একদম সঠিক। কারন মার্কেট অনেকক্ষণ ধরেই overbought অবস্থায় আছে, তাই এই অবস্থায় এখন প্রাইস কমে যেতে বাধ্য।
Stochastic ইন্ডিকেটরের বেসিক কার্যপ্রণালী এটাই। অনেক ট্রেডার Stochastic কে অন্যভাবেও ব্যবহার করেন। কিন্তু মার্কেটের overbought অথবা oversold অবস্থা বোঝাতেই Stochastic ইন্ডিকেটরটি মূলত ব্যবহৃত হয়।

Parabolic Sar

অধিকাংশ ইন্ডিকেটর আপনাকে নতুন ট্রেন্ড শুরু হবার সিগন্যাল দেয়। নতুন ট্রেন্ড চিহ্নিত করা যেমন জরুরি, তেমনি ট্রেন্ডের সমাপ্তি চিহ্নিত করাটাও ততটা জরুরী। যদি সঠিক সময়ে ট্রেড ক্লোজ না করা হয় তবে সঠিক সময়ে ট্রেড ওপেন করে খুব একটা লাভ নেই।


Parabolic SAR (Stop And Reversal) ইন্ডিকেটরটি ট্রেন্ড কখন শেষ হতে পারে সে সম্পর্কে ধারনা পেতে আমাদের সাহায্য করে। Parabolic Sar চার্টে ডট অথবা পয়েন্টের সাহায্যে ট্রেন্ডের পরিবর্তন নির্দেশ করে।

কিভাবে Parabolic SAR এর সাহায্যে ট্রেড করবেনঃ

Parabolic SAR খুব সহজ এবং সাধারন একটি ইন্ডিকেটর। যখন ক্যানডেলের নিচে ডট আসে, তখন তা বাই সিগন্যাল বোঝায়। আর যখন ক্যানডেলের ওপরে ডট আসে তখন তা সেল সিগন্যাল বোঝায়।


ট্রেন্ডিং মার্কেটে এই ইন্ডিকেটরটি অনেক ভাল কাজ করবে। কিন্তু মার্কেট যখন সাইডওয়ে ট্রেন্ডে থাকে, তখন আপনি ভাল ফল পাবেন না।

কিভাবে Parabolic Sar এর সাহায্যে ট্রেড ক্লোজ করবেনঃ

কখন আপনার ট্রেড ক্লোজ করা উচিত তা আপনি Parabolic Sar এর সাহায্যে বুঝতে পারেন। নিচের EURUSD চার্টে দেখুন Parabolic Sar exit সিগন্যাল হিসেবে কাজ করেছে ডেইলি চার্টে।


 ৩ টি ডট দেখলেই আপনি আপনার পূর্বের ট্রেড ক্লোজ করে নতুন ট্রেন্ডের দিকে নতুন ট্রেড ওপেন করতে পারেন।

Bollinger Bands

মার্কেট ভোলাটিলিটি অনুধাবন করার জন্য Bollinger Bands ইন্ডিকেটরটি ব্যবহার করা হয়।
এই ছোট টুলসটি আমাদের বলে দিবে যে মার্কেট কি এখন শান্ত না অশান্ত। যখন মার্কেট শান্ত থাকে তখন ব্যান্ড ২টি সংকুচিত হয়ে যায়, আর যখন মার্কেট অশান্ত থাকে তখন ব্যান্ড ২টি প্রশস্ত হয়ে যায়।
নিচের চার্টটি দেখুন। যখন মার্কেট শান্ত ছিল, তখন ব্যান্ড ২টি কাছাকাছি ছিল। কিন্তু যখন প্রাইস খুব দ্রুত বেড়ে গেছে অর্থাৎ মার্কেট অশান্ত হয়ে গেছে, তখন ব্যান্ড ২টি দূরে সরে গেছে।


Bollinger Bounce:

Bollinger Bands সম্পর্কে একটি ব্যাপার আপনার জেনে রাখা দরকার যে প্রাইস অধিকাংশ সময় ব্যান্ডের মাঝখানে ফিরে আসে। এটাই হল Bollinger Bounce এর আসল আইডিয়া। নিচের চার্টটি দেখে কি আপনি বলতে পারেন যে প্রাইস পরবর্তীতে কোথায় যেতে পারে?


এখন আপনি যদি বলে থাকেন যে দাম কমবে তাহলে আপনার উত্তর সঠিক। নিচের চার্টে আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে প্রাইস কমে গেছে এবং প্রাইস ব্যান্ড ২টির মাঝখানে চলে এসেছে।




আপনি এখন যেটা দেখলেন সেটা হল Bollinger Bounce. এরকম বাউন্স হবার কারন হল Bollinger bands এর ব্যান্ড ২টি ডাইনামিক সাপোর্ট এবং রেসিসট্যান্স লেভেল হিসেবে কাজ করে।
আপনি যত বড় টাইমফ্রেম ব্যবহার করবেন, ব্যান্ডগুলো তত শক্তিশালি হবে। মার্কেট যখন একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে ঘোরাফেরা করে এবং কোন নির্দিষ্ট ট্রেন্ড থাকে না, তখন এই স্ট্রাটেজীটি ভাল কাজ করে।

Bollinger Squeeze:

যখন ব্যান্ড ২টি খুব বেশি সংকুচিত হয়ে যায় তখন এটি সাধারনত নির্দেশ করে যে সম্ভবত ব্রেকআউট হতে যাচ্ছে।
যদি ক্যানডেল ওপরের ব্যান্ডটিকে ব্রেক করে ওপরে উঠে যায় তবে সাধারনত প্রাইস আরও ওপরে উঠতে থাকে অর্থাৎ প্রাইস বাড়তে থাকে। আর যদি ক্যানডেল নিচের ব্যান্ডটিকে ব্রেক করে নিচে নামতে থাকে, তাহলে প্রাইস আরও নিচে নামতে থাকে অর্থাৎ প্রাইস কমতে থাকে।


ওপরের চার্টটি দেখুন। ব্যান্ড ২টি সংকুচিত হয়ে আসছে। প্রাইস ওপরের ব্যান্ডটি ব্রেক করে ওপরে উঠে যাচ্ছে। এই চার্টের ওপর ভিত্তি করে আপনি কি মনে করেন প্রাইস কি বাড়বে না কমবে?






আপনি যদি বলে থাকেন যে প্রাইস বাড়বে তাহলে আপনি সঠিক। এভাবেই সাধারন Bollinger Squeeze কাজ করে।
এরকম ট্রেডের সুযোগ আপনি প্রতিদিন পাবেন না। কিন্তু ১৫ মিনিটের চার্টে আপনি সপ্তাহে কয়েকবার এরকম ট্রেডের সুযোগ পেতে পারেন।
Bollinger bands দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ট্রেড করা যায়। কিন্তু এই ২টি হল Bollinger Bands দিয়ে ট্রেড করার সবচেয়ে সহজ এবং সাধারণ ট্রেডিং স্ট্রাটেজী।

ইন্ডিকেটর কি?

ইন্ডিকেটর এক ধরনের নির্দেশক, যা আপনাকে প্রাইস বাড়বে কি কমবে নির্দেশ করে। যদি আপনার অজানা থাকে যে প্রাইস কি বাড়তে পারে কিংবা কমতে পারে, তবে ইন্ডিকেটর আপনাকে সে ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। এটা বিভিন্ন সিগন্যাল দেখায় যার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে পরবর্তীতে প্রাইস বাড়বে না কমবে এবং সে অনুসারে ট্রেড করতে পারেন। এছাড়া অনেক ইন্ডিকেটর মার্কেট ট্রেন্ড বুঝতেও আপনাকে সাহায্য করবে।
মনে রাখবেন ইন্ডিকেটর কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট ফর্মুলা দিয়ে কাজ করে। তাই আপনি যে সব সময় সঠিক সিগন্যাল পাবেন তা নয়। অনেক সময় ভুল সিগন্যাল আসতে পারে। আবার ফান্ডামেন্টাল নিউজের কারনে ইন্ডিকেটরের সিগন্যাল অনেক সময় কাজ করবে না। তাই অন্ধভাবে ইন্ডিকেটর অনুসরন না করে নিজের অ্যানালাইসিসকে এর সাথে কাজে লাগিয়ে ট্রেড করুন।
অনেক ইন্ডিকেটর রয়েছে। মেটাট্রেডারে ডিফল্টভাবে কিছু ইন্ডিকেটর দেয়া থাকে। যেমনঃ Bollinger Bands, Moving Average, parabolic Sar ইত্যাদি। এছাড়াও অনলাইনে হাজার হাজার ইন্ডিকেটর ফ্রি পাওয়া যায়। আপনি সেগুলো মেটাট্রেডারে যোগ করে নিতে পারবেন। গুগলে Forex indicator লিখে সার্চ করলেই অনেক ইন্ডিকেটর পাবেন। এছাড়া বিডিপিপসের "ফরেক্স ইন্ডিকেটর" সেকশনে অনেক ইন্ডিকেটর রয়েছে। যেকোনো ইন্ডিকেটর প্রথমে ডেমোতে টেস্ট করে দেখুন। ফলাফল ভাল লাগলে তারপর রিয়েল ট্রেডে ব্যবহার করুন।

ফরেক্সে প্রফিট করার অনেক উপায় রয়েছে। আর আপনি যখন ইন্ডিকেটর নিয়ে কাজ করবেন, এরা আপনার ট্রেডিং টুলবক্সে একেকটি ভিন্ন ভিন্ন টুলস হিসেবে কাজ করবে। আপনার হয়তো ইন্ডিকেটর ব্যবহার করার প্রয়োজন নাও থাকতে পারে, কারন হয়ত আপনি নিজেই অনেক ভাল মার্কেট অ্যানালাইসিস করতে পারেন অথবা আপনার আগে থেকেই পছন্দের ইন্ডিকেটর রয়েছে। কিন্তু নতুন নতুন টুলস আপনার ট্রেডিংকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং আপনি আরও ভালভাবে অ্যানালাইসিস করতে সক্ষম হবেন। কিন্তু খুব বেশি ইন্ডিকেটর ব্যবহার না করাই ভাল। ভিন্ন ভিন্ন ইন্ডিকেটর হয়তো আপনাকে আরও দ্বিধাগ্রস্থ করে তুলবে।

আমরা এখানে যেসব ইন্ডিকেটর নিয়ে আলোচনা করব তা হলঃ

  • Bollinger Bands
  • Moving Average
  • RSI
  • ADX
  • Parabolic Sar
  • Stochastic
আরও অনেক ইন্ডিকেটর রয়েছে। ভবিষ্যতে বিডিপিপস ফরেক্স স্কুলে আর নতুন নতুন ইন্ডিকেটর যুক্ত করা হবে।
শুধুমাত্র একটি ইন্ডিকেটর কখনো অন্ধভাবে অনুসরণ করবেন না। কমপক্ষে ২-৩ টি ইন্ডিকেটর দেখে অ্যানালাইসিস করে ট্রেডের প্রস্তুতি নিন। ইন্ডিকেটর অনেক সময় ভুল সিগন্যাল দেয়।

পিভট পয়েন্ট

পিভট পয়েন্ট কি?

বাই-সেল সিগন্যাল নির্ধারণ করার জন্য পিভট পয়েন্ট ফরেক্সে অনেক জনপ্রিয় একটি মেথড। রিভার্সাল পয়েন্ট (যেখানে গিয়ে প্রাইস বিপরীত দিকে ফিরে আসে) চিহ্নিত করার জন্য ট্রেডাররা পিভট পয়েন্ট ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে।
পিভট পয়েন্টে চার্টটিকে কয়েকটি সেকশনে ভাগ করা হয়। মাঝের পয়েন্টটি হল পিভট পয়েন্ট (PP)। পিভট পয়েন্টের ওপরে প্রাইস থাকলে মার্কেট বুল্লিশ (মার্কেটের গতিবিধি ঊর্ধ্বমুখী) এবং পিভট পয়েন্টের নিচে প্রাইস থাকলে মার্কেট বিয়ারিশ (মার্কেটের গতিবিধি নিম্নমুখী)। R1, R2 এবং R3 হল রেসিসট্যান্স লেভেল এবং পিভট পয়েন্টের (PP) অপরে থাকে। S1, S2 এবং S3 হল সাপোর্ট লেভেল এবং পিভট পয়েন্টের (PP) নিচে থাকে।


এখানে,
  • PP = Pivot point (পিভট পয়েন্ট)
  • S = Support (সাপোর্ট)
  • R = Resistance (রেসিসট্যান্স)

কিভাবে পিভট পয়েন্ট হিসাব করা হয়ঃ

পিভট পয়েন্টের ক্ষেত্রেঃ
  • High = গতকাল প্রাইস সর্বোচ্চ যে প্রাইসে গিয়েছে
  • Low = গতকাল প্রাইস সর্বনিম্ন যে প্রাইসে গিয়েছে
  • Close = গতকাল মার্কেট যে প্রাইসে ক্লোজ হয়েছে
ক্যালকুলেশনঃ
 
R3 = High + 2 x (PP – Low)

R2 = PP + (High – Low) = PP + (R1 – S1)
 
R1 = (PP x 2) – Low 

PP = (High + Low + Close) / 3
 
S1 = (PP x 2) – High

S2 = PP – (High – Low) = PP – (R1 – S1) 

S3 = Low – 2 x (High – PP)
 
আপনি এখন কষ্ট করে High, low এবং close বের করে পিভট পয়েন্ট বের করতে
 
পারেন। অথবা পিভট পয়েন্ট ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে High, low এবং close সহজেই
 
ডাটাগুলো বের করে নিতে পারেন। এছাড়া কিছু পিভট ইন্ডিকেটর রয়েছে, যেগুলো আপনার চার্টেই 
 
পিভট পয়েন্ট দেখিয়ে দেবে। এজন্য ইন্ডিকেটর বিভাগটি দেখুন। 
 
 

কিভাবে পিভট পয়েন্ট ব্যবহার করে ট্রেড করবেনঃ

ব্রেকআউট ট্রেডিং
ব্রেকআউট হলে আপনি যেভাবে ট্রেড করেন, এখানেও তা ঠিক সেভাবেই কাজ করবে। প্রাইস যদি পিভট লাইনকে ক্রস করে এবং সেদিকে ক্লোজ হয়, তবে সাধারনত প্রাইস সেদিকেই যেতে থাকে। নিচের চার্টটি দেখুনঃ


সবুজ জায়গাটি বোঝাচ্ছে যে প্রাইস প্রথমে পিভট পয়েন্টের নিচে ছিল এবং সবুজ জায়গা থেকে পিভট লাইন অতিক্রম করে ওপরের দিকে উঠেছে।
যখন পিভট লাইন ভেঙ্গে যায়, তার মানে হল যে প্রাইস এখন সেদিকে যেতে শুরু করবে। ব্রেকআউট ট্রেড করার উপায় হল, ব্রেক হবার পরেই সেই দিকে ট্রেড ওপেন করা। আপনি যখন ট্রেড ওপেন করবেন, তখন আপনি ব্রোকেন লাইনের ঠিক বিপরীতে স্টপ লস সেট করবেন এবং টেক প্রফিট হবে পরবর্তী লাইন।


ওপরের চার্টটি দেখুন। ট্রেড ওপেন করা হয়েছিল ২.০৫৫০ (সবুজ লাইন) প্রাইসে। স্টপ লস সেট করতে হবে ১.০৫৩৫ এ পিভট পয়েন্টের (লাল লাইন) নিচে। আপনার টেক প্রফিট হবে ১.০৫৯৪ এর R1 এর আশেপাশে।
এই ট্রেডটি মাত্র ৪০ পিপসের ছিল। খুব বেশী উত্তেজিত হবার কোন কারন নেই। কারন এগুলো সবসময় কাজ করে না। টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের অন্য কোন কিছুর সাথে আপনি এটাকে কাজে লাগিয়ে আপনি আরেকটু নিশ্চিত হতে পারনে যে আপনি ভুল ট্রেড করতে যাচ্ছেন না।

রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং
রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং হল যখন প্রাইস ২টি পিভট পয়েন্টের মধ্যে আঁটকে থাকে, অর্থাৎ ২টি লাইনের মধ্যেই বারবার ঘুরতে থাকে। নিচের চার্টটি দেখুনঃ


 যতবার প্রাইস পিভট পয়েন্টকে হিট করে, কিন্তু ব্রেক না করে ফিরে যায়, পিভট পয়েন্ট তত শক্তিশালী হয়। যদি প্রাইস দিনে কোন পিভট পয়েন্টকে ৫ বার হিট করে, কিন্তু ব্রেক না করে, তবে বুঝতে হবে পিভট পয়েন্টটি অনেক শক্তিশালী। কিন্তু প্রাইস যদি পিভট পয়েন্টকে ১ বার হিত করে, তবে রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং ট্রেডিং করার জন্য আপনি আরও ১ বার ঐ পিভট পয়েন্ট হিট করার জন্য অপেক্ষা করতে পারেন।
আপনি যদি কোন চার্ট দেখতে থাকেন এবং দেখেন যে প্রাইস কমপক্ষে ২ বার পিভট পয়েন্টকে হিট করেছে কিন্তু ব্রেক না করে বিপরীত দিকে ফিরে গেছে, তাহলে আপনি রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং করার কথা ভাবতে পারেন।

চ্যানেল

আমরা এখানে চ্যানেল আই, বিটিভি কিংবা কার্টুন নেটওয়ার্ক চ্যানেল নিয়ে আলোচনা করব না। আমরা যদি ট্রেন্ড লাইন থিওরিকে আর এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাই এবং আপট্রেন্ড বা ডাউনট্রেন্ড লাইনের সাথে একই দিকে সমান্তরাল ভাবে আরেকটি লাইন আঁকি, তবে একটি চ্যানেল তৈরি হবে।
চ্যানেল হল টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের আরেকটি টুলস যা বাই বা সেল করার জন্য ভাল প্রাইস নির্ধারণ করতে আমাদের সাহায্য করে।


ঊর্ধ্বমুখী চ্যানেল আঁকার জন্য আপট্রেন্ড লাইনের সমান্তরালে একটি লাইন আঁকতে হবে এবং তা সাম্প্রতিক বটম পয়েন্টগুলোর সাথে কানেক্ট করতে হবে। ট্রেন্ড লাইন আঁকার সময়ই এই লাইনটি আঁকতে হবে।
নিম্নমুখী চ্যানেল আঁকার জন্য ডাউনট্রেন্ড লাইনের সমান্তরালে একটি লাইন আঁকতে হবে এবং তা সাম্প্রতিক টপ পয়েন্টগুলোর সাথে কানেক্ট করতে হবে। ট্রেন্ড লাইন আঁকার সময়ই এই লাইনটি আঁকতে হবে।
যখন প্রাইস নিচের ট্রেন্ড লাইনকে হিট করবে, তখন আপনি বাই করতে পারেন। আর যদি প্রাইস ওপরের ট্রেন্ড লাইনকে হিট করে তবে আপনি সেল করতে পারেন।
চ্যানেল ৩ প্রকারঃ
  • ঊর্ধ্বমুখী চ্যানেল (higher highs and higher lows)
  • নিম্নমুখী চ্যানেল (lower highers and lower lows)
  • সমান্তরাল বা সাইডওয়ে চ্যানেল (ranging)
চ্যানেল সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্যঃ
  • চ্যানেল আঁকার সময়, দুটি ট্রেন্ড লাইনই সমান্তরাল হতে হবে।
  • চ্যানেলের নিচের অংশটি বাই জোন এবং ওপরের অংশটি সেল জোন হিসেবে বিবেচিত হয়।
  • ট্রেন্ড লাইন আঁকার মত চ্যানেল আঁকার সময়েও জোর করে চ্যানেল আঁকার চেষ্টা করবেন না। তাহলে তা ভুল ট্রেডের নির্দেশনা দিতে পারে।

ট্রেন্ড লাইন

টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের সবচেয়ে প্রচলিত এবং জনপ্রিয় একটি টুলস হল ট্রেন্ড লাইন। ট্রেন্ড লাইন সহজেই বোঝা যায়। ট্রেন্ড লাইন যদি সঠিকভাবে আকা যায় তবে তা অন্য যেকোনো মেথড থেকে ভাল ফলাফল দেয়। কিন্তু অধিকাংশ ট্রেডার সঠিকভাবে ট্রেন্ড লাইন আঁকতে পারে না এবং জোর করে ট্রেন্ড লাইন আকে জার ফলে তা কার্যকর হয় না।
ট্রেন্ড লাইন আঁকার জন্য মেটা ট্রেডার এর টুলস থেকে ট্রেন্ড লাইন টুল দিয়ে লাইন টানতে হয়।
লো পয়েন্টগুলো একটি ট্রেন্ড লাইনের মাধ্যমে কানেক্ট করতে হয় এবং হাই পয়েন্টগুলো একটি ট্রেন্ড লাইনের মাধ্যমে কানেক্ট করতে হয়।
যদি কোন ক্যানডেল ট্রেন্ড লাইন ক্রস করে ওপরে বা নিচে চলে যায়, তখন বুঝতে হবে ট্রেন্ড লাইন ব্রেক হয়েছে।
নিচের চার্টটি ফলো করুনঃ


ট্রেন্ড ৩ রকমঃ
  • আপট্রেন্ড (higher lows)
  • ডাউনট্রেন্ড (lower high)
  • সাইডওয়ে ট্রেন্ড (ranging)
আপট্রেন্ডে মার্কেট ঊর্ধ্বমুখী থাকে। তাই আপনি বাই করতে পারবেন। ডাউনট্রেন্ডে মার্কেট নিম্নমুখী থাকে। তাই আপনি সেল করতে পারবেন। সাইডওয়ে ট্রেন্ডে মার্কেট একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে ঘুরতে থাকে। তাই সাইডওয়ে ট্রেন্ডে ট্রেড না করাই ভাল।

ট্রেন্ড লাইন সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্যঃ
  • অন্তত ২টি টপ (top) অথবা বটম (bottom) পয়েন্ট সংযুক্ত করে ট্রেন্ড লাইন আঁকতে হয়। তবে ৩টি পয়েন্ট হলে ট্রেন্ড লাইন কনফার্ম হয়।
  • সাপোর্ট এবং রেসিসট্যান্স লাইনের মত যতই প্রাইস ট্রেন্ড লাইনগুলোকে টেস্ট করবে, ট্রেন্ড লাইনগুলো তত শক্তিশালী হবে।
  • জোর করে ট্রেন্ড লাইন আঁকার চেষ্টা করবেন না যদি। সেক্ষেত্রে তা ভ্যালিড ট্রেন্ড লাইন হবে না।

সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স

আপনি যদি সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স বুঝতে পারেন তবে আপনি বুঝতে পারবেন ফরেক্স মার্কেট কিভাবে 

কাজ করে।

এই পদ্ধতি আপনাকে সঠিক সময়ে ট্রেড খুলতে এবং ঠিক সময়ে ট্রেড থেকে আপনাকে বের হয়ে আসতে 


আপনাকে সাহায্য করবে।

বিভিন্নভাবে সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স লেভেল বের করা যায়।

যখন মার্কেট সাপোর্ট লেভেল একবার ব্রেক করে যায়, সাধারণত প্রাইস আরও কমে যায় এবং পরবর্তী 


রেসিসটেন্স লেভেল তখন সাপোর্ট হিসেবে কাজ করে।

আবার যখন মার্কেট রেসিসটেন্স লেভেল একবার ব্রেক করে যায়, সাধারণত প্রাইস আরও বেড়ে যায় এবং


পরবর্তী সাপোর্ট লেভেল তখন রেসিসটেন্স হিসেবে কাজ করে।

তাই সাপোর্ট ব্রেক করলে সেল করা উচিত এবং রেসিসটেন্স ব্রেক করলে বাই করা উচিত।



উপরের ছবিটি দেখুন। এখানে একটি জিগজ্যাগ প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে।

ধরুন মার্কেট আপট্রেন্ডে রয়েছে। এখানে মার্কেট সর্বোচ্চ বাড়ার পর যে প্রাইসে আবার তা কমে যেতে 


শুরু করে সেটাই রেসিসটেন্স।

অর্থাৎ, বেড়ে যাওয়ার পর সর্বোচ্চ পয়েন্টটিই হল রেসিসটেন্স লেভেল।


আবার কমে সর্বনিম্ন যত নিচে যায়, সেই পয়েন্টটি হল সাপোর্ট লেভেল।


মার্কেট ডাউনট্রেন্ডে থাকলেও একইরকম।


সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স নির্ধারণ


একটি বিষয় মনে রাখবেন যে সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স কখনও কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নয়। এটি এক 


ধরনের লেভেল বা এরিয়া।
 
অনেক সময় চার্ট দেখে মনে হয় যে মার্কেট সাপোর্ট বা রেসিসটেন্স ব্রেক করেছে কিন্তু কিছুক্ষণ পর 


বোঝা যায় যে মার্কেট আসলে সাপোর্ট বা রেসিসটেন্স ব্রেক হয়নি, মার্কেট শুধুমাত্র টেস্ট করেছে।
 
ক্যানডেলস্টিক চার্টে এই মার্কেট টেস্টসমূহকে এভাবে দেখান যেতে পারেঃ





চার্টটি দেখুন। দেখা যাচ্ছে মার্কেট ২ বার ১.৪৭০০ সাপোর্ট লেভেল ব্রেক করেছে। 
 
কিন্তু মার্কেট সাথে সাথেই আবার ওপরে উঠে গেছে অর্থাৎ সাপোর্ট লেভেল আসলে ভাঙ্গেনি।

 
মার্কেট শুধুমাত্র টেস্ট করেছে।

তাহলে কিভাবে বুঝবেন যে সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স লেভেল সত্যিই ব্রেক হয়েছে?

এই প্রশ্নের কোন সঠিক উত্তর নেই।

 
তবে কেউ কেউ বলে প্রাইস যদি আগের লেভেলে ক্লোজ হয় তবেই সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স ব্রেক হয়েছে 


বোঝা যায়।
 
কিন্তু এটা যে সবসময় হয় তা নয়।

নিচের চার্টটি দেখুন। প্রাইস ১.৪৭০০ এর অনেক নিচে গিয়েছে। কিন্তু পরে আবার বেড়ে গিয়েছে।



কিন্তু সাপোর্টটি আসলে ব্রেক হয়নি। এটি এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে এবং অনেক শক্তিশালী। এখন যদি

আপনি আপনার বাই ট্রেড ক্লোজ করে সেল ট্রেড দিতেন, হয়ত আপনি লসের সম্মুক্ষীণ হতেন।

আপনি যদি প্রতিনিয়ত প্র্যাকটিস করেন তবে আপনি সহজেই সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স নির্ধারণ করতে 


পারবেন।






সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স সম্পর্কে কিছু তথ্য
 

  • যখন মার্কেট রেসিসটেন্স লেভেল একবার ব্রেক করে যায়, পরবর্তী সাপোর্ট লেভেল তখন রেসিসটেন্স হিসেবে কাজ করে। আবার যখন মার্কেট সাপোর্ট লেভেল একবার ব্রেক করে যায়, পরবর্তী রেসিসটেন্স লেভেল তখন সাপোর্ট হিসেবে কাজ করে
  • মার্কেট সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স লেভেল যত বেশি টেস্ট করে, ঐ সাপোর্ট বা রেসিসটেন্স তত বেশি শক্তিশালী হয়।

নিউজ ইম্প্যাক্ট

প্রতিদিন ফরেক্সের অনেক নিউজ, জব রিপোর্ট, স্পিচ প্রকাশিত হয়। এগুলো মার্কেটকে প্রভাবিত করে। তাই অনেকেই এই নিউজগুলো টার্গেট করে ট্রেড করে। কিন্তু আমাদের কি সব নিউজই ট্রেড করা উচিত? সব নিউজের প্রভাব বা ইম্প্যাক্ট সমান নয়। দেখা যাক কি কি ধরনের নিউজ আসে।


ফরেক্সের নিউজের জন্য সবাই প্রধানত FOREXFACTORY.COM অনুসরন করে থাকে। কারন তারা সবচেয়ে ভাল নিউজ প্রকাশ করে থাকে এবং সবার আগে প্রকাশ করে। আপনি সেখানে প্রতিটি নিউজের পাশে ওপরের ৪টি চিহ্নের একটি দেখতে পাবেন। সুতরাং, চিহ্ন দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন ওই নিউজের প্রভাব কি হবে এবং সে অনুসারে ট্রেড করতে পারবেন। হাই ইম্প্যাক্ট নিউজ দ্বারা বোঝায় যে তা মার্কেটে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। মিডিয়াম ইম্প্যাক্ট নিউজগুলোর প্রভাব তুলনামূলক কম হয়। লো ইম্প্যাক্ট নিউজগুলোর প্রভাব একেবারেই কম। সাদা চিহ্ন দিয়ে বোঝায় এই নিউজটি ইকোনমিক নিউজ নয়, যেমন- ব্যাংক হলিডে। যেহেতু লাল হাই ইম্প্যাক্ট এবং কমলা মিডিয়াম ইম্প্যাক্ট নিউজগুলো মার্কেটে বেশী প্রভাব ফেলে, তাই আপনি সেগুলো ট্রেড করতে বা সেগুলো মার্কেটে কি রকম প্রভাব তৈরি করতে পারে তা জেনে রাখতে পারেন। 



ওপরের ছবিতে দেখুন। ECB President Trichet Speaks এবং Manufacturing Production m/m এই নিউজ ২টি হাই ইম্প্যাক্ট নিউজ। এগুলো মার্কেটকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করবে। BOJ Monthly Report হল মিডিয়াম ইম্প্যাক্ট নিউজ। Household Confidence এবং Economy Watchers Sentiment হল লো ইম্প্যাক্ট নিউজ, যার প্রভাব মার্কেটে খুব একটা বেশী হবে না।

কোন নিউজ কোন কারেন্সিকে প্রভাবিত করে

প্রতিটি নিউজের সামনে লেখা থাকে নিউজটি কোন কারেন্সির জন্য। যেমনঃ RBA Assist Gov Debelle Speaks নিউজটির রেজাল্ট ভাল বা খারাপ আসলে তা AUD পেয়ারকে প্রভাবিত করবে। আবার French CPI m/m নিউজটির রেজাল্ট EUR পেয়ারকে প্রভাবিত করবে।


টিপস এন্ড ট্রিকস

কাস্টোমাইজড নিউজ
আপনার যদি Forex Factory তে নির্দিষ্ট কিছু নিউজ দেখতে চান তবে ওপরে কর্নার থেকে "Filter" ক্লিক করে আপনার পছন্দমত কনফিগারেশন থিক করে দিতে পারেন।


নিউজ টাইম
Forex Factory এর সাথে হয়তো আপনার কম্পিউটারের সময় মিলছে না। তাই আপনার নিউজ বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে এবং কখন নিউজটি পাবলিশ হবে বুঝতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে Forex Factory এর অপরে বামপাশে কর্নার থেকে বর্তমানে সে সময় দেখাচ্ছে তাতে ক্লিক করুন।


পরবর্তী পেইজে Time Zone: GMT +6 সেট করে "Save Changes" ক্লিক করে বের হয়ে আসুন।

দেখবেন এরপর থেকে বাংলাদেশী সময়ে নিউজ এর সময় দেখাবে।

নিউজ কিভাবে বুঝবেন?

ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস করবো। কিন্তু কিছুই তো বুঝিনা। নিউজ দেখে এর প্রাইসের 

মুভমেন্ট থেকে মেন্টাল হয়ে যাচ্ছি।
 
ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস - করলেও প্যারালাইসিস, না করলেও প্যারালাইসিস।



আমরা আপনাকে কিছু বেসিক জিনিস বোঝার জন্য সাহায্য করতে পারি।

এই স্ক্রীনশটটি দেখুনঃ



প্রথমে আমরা Formula টি দেখবো।

Halifax HPI m/m এই নিউজের ক্ষেত্রে Formula হলঃ


Actual > Forecast = Good for currency

এখন আমরা জানবো Actual, Forecast এবং Previous কি?





এই স্ক্রীনশটে দেখুন Previous 0.2%. তারমানে হল এর আগে যখন নিউজটি পাবলিশ হয়েছিল,

তখন রেসাল্ট (actual) এসেছিল 0.2%.


Forecast দিয়ে বোঝায় এবার ধারনা করা হচ্ছে যে নিউজটির রেসাল্ট 0.5% আসতে পারে।


আর Actual হল এবার যে ফলাফল আসবে।

Actual এ এবার যে ফলাফল আসবে, তা পরবর্তী নিউজে Previous হিসেবে গণ্য হবে।

এখন আমরা আবার আমাদের ফরমুলায় ফিরে আসি। এখানে বলা হয়েছে, Actual > 


Forecast = Good for currency.

এটা GBP বিষয়ক নিউজ। তারমানে এবারের Actual এর ফলাফল Forecast (0.5%)


থেকে বেশী হলে তা GBP এর জন্য ভাল।

আর যদি Actual এর ফলাফল Forecast থেকে খারাপ আসে, তবে তা GBP এর জন্য 


খারাপ।

এখানে এবার Actual এসেছে -1.2%. তারমানে Actual < Forecast. তারমানে 


Bad for currency (GBP).

সুতরাং, এখানে এই ফরমুলা কাজ করবে,

Actual > Forecast = Good for currency


Actual < Forecast = Bad for currency

এখানে, GBP এর Bad for currency আসায় GBP এর জন্য খারাপ নিউজ। তাই 


GBP এর পেয়ারগুলোতে এর ইফেক্ট পড়বে। যেমন, GBPUSD কমতে পারে, EURGBP

বাড়তে পারে ইত্যাদি। কিন্তু সবসময় যে নিউজ এর ইফেক্ট হয় তা কিন্তু নয়, অনেক সময় বিপরীত 

ইফেক্টও হয়ে থাকে।

নিউজ ট্রেডিং

ফরেক্সে প্রায় প্রতিদিনই গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিউজ রিলিজ হয়। আপকামিং নিউজ গুলো বিভিন্ন ব্রোকারের 

Economic Calender সেকশনে পাওয়া যায়। নিউজ রিলিজ হওয়ার পূর্বে বিভিন্ন প্রতিষ্টান 

সার্ভে করে কোন নিউজ কিরকম আসতে পারে তার একটা পূর্বাভাষ ভ্যালু (forecast) তৈরি করে। 

এসব প্রতিষ্টানে bloomberg, cnbc এর মত বড় বড় বিজনেজ নিউজ এজেন্সী থাকে। এই 

forecast ভ্যালুর চেয়ে actual খারাপ আসা মানে ঐ দেশের ইকোনমি খারাপ করছে , আর ঐ 

ভ্যালু থেকে ভাল করা মানে ঐ দেশের ইকোনমি ভাল করছে। নিউজ আসার সাথে সাথে প্রাইসের প্রচুর 

উঠানামা করবে। ফান্ডামেন্টাল থিওরী অনুযায়ী কোন দেশের ইকোনমি ভাল করছে এই খবর আসলে 

সাথে সাথে ঐ দেশের মুদ্রা বাড়তে থাকবে আবার ঐ দেশের ইকোনমি খারাপ করছে খবর আসলে উল্টা 

ঘটবে।

যারা স্কালপিং করেন তাদের জন্য নিউজ ট্রেডিং আশীর্বাদস্বরুপ কারণ নিউজ রিলিজ হওয়ার ৫-১০ 


মিনিটেই ৩০-৫০ পিপস মুভ হতে পারে। সেটা নির্ভর করে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ নিউজ সেটার উপরে।

attachment file এ দেখুন কোন দেশের কোন কোন নিউজে কত পিপ মুভমেন্ট হতে পারে এবং


কত টুকু চেঞ্জে নিউজ ফিগার আসলে সেটা ট্রেড করা যায়। 




Tradable Figure হচ্ছে ঐ নিউজের forecast থেকে কতটুকু চেঞ্জে actual figure

আসলে সেটা ট্রেড করার যোগ্য। মনে রাখবেন উপরের ট্রেডেবল ফিগারটা হচ্ছে একেবারে মডারেট

ফিগার। মানে অতটুকু একচুয়াল ভ্যালু চেঞ্জ হলে প্রাইস অবশ্যই মুভ করবে। কিন্তু বাস্তবে ট্রেড করার

জন্য অতটুকু চেঞ্জ দরকার হয় না । কিছুটা কম চেঞ্জ হলেও সমস্যা নেই। যেমন us Nonfarm

payroll হচ্ছে অনেক স্পর্শকাতর একটা নিউজ। এটার ট্রেডেবল ফিগার দেয়া আছে 70K 

ডিফারেন্সে। কিন্তু 70K ডিফারেন্স না হয়ে কম হলেও প্রাইস প্রচুর মুভ করবে।

Movement range হচ্ছে কত পিপস মুভ হতে পারে। পক্ষে আসলে প্রাইস বাড়বে আর বিপক্ষে


আসলে প্রাইস কমবে।

বিভিন্ন ব্রোকার নিউজ রিলিজের সময় স্প্রেড বাড়িয়ে দেয় কারণ ঐ মুহূর্তে মার্কেটে volatility বেশি 


থাকে। তাই আপনার একাউন্ট ফিক্সড স্প্রেড না হলে স্প্রেড বেশি দেখলে অবাক হবেন না। 

Requotes হতে পারে যদি আপনার ব্রোকার market maker হয়। আবার মাঝে মাঝে 

প্লাটফর্ম হ্যাং হয়ে যেতে পারে। আবার ট্রেড ওপেন হয়ে গেলেও শো না করতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি

পুনরায় ট্রেড ওপেন করে ফেললে পরে দেখবেন ২টা ট্রেড। আবার বাংলাদেশের বিদ্যুতের যে অবস্থা 

নিউজ রিলিজে ট্রেড ওপেন করার পর যদি বিদ্যূত চলে যায় তাহলে কি করবেন সেটাও ভেবে রাখবেন। 
 কারণ নিউজ রিলিজের পর একচুয়াল ভ্যালু যা আসে তা মাঝে মাঝে সংশোধন হয় যাকে Revise

বলে। যেমন ইউএস এর jobless claims আসল প্রচুর। jobless claims প্রচুর আসা 

মানে আমেরিকায় চাকরি সঙ্কট প্রচুর। মানে আমেরিকার ইকোনমি খারাপ অবস্থায় আছে। আপনি 

eur/usd বাই দিলেন। পরে revised figure আসল যে আসলে ততটুকু খারাপ নয়। তখন

মার্কেট সাথে সাথে ইউ টার্ন করবে। সেসময় আপনাকে স্ক্রিনের সামনে থাকতে হবে যাতে কোন 

অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা থেকে বাচা যায়। তাই নিউজ ট্রেডিংয়ে হাইয়েস্ট সতর্কতা পালন করবেন।

নিউজ ট্রেডিং রিয়েল একাউন্টে করার আগে ডেমো ট্রেড করে নিবেন market volatility আপনি


কতটুকু ভালভাবে handle করতে পারছেন দেখবেন।

সেন্টিমেন্টাল অ্যানালাইসিস

প্রত্তেক ট্রেডারের কাছে নিজস্ব মতামত বা ব্যাখ্যা থাকে যে কেন মার্কেট এভাবে মুভ করছে। আমি, আপনি কিংবা পিপস শিকারি মার্কেট সম্পর্কে যা অনুভব করি এবং সে অনুসারে পজিশন নেই, তাই পরবর্তীতে নতুন মার্কেট সেন্টিমেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করে। সব ট্রেডারদের ট্রেড মার্কেটে প্রতিফলিত হয়।
তাই আপনি একা যদি কোন ট্রেড সম্পর্কে কিছুই অনুভব করে থাকেন না কেন যে মার্কেট সেইদিকে যাবে, আপনি কখনোই মার্কেটকে আপনার পক্ষে মুভ করাতে পারবেন না। এমনকি আপনার যদি দৃঢ় বিশ্বাস থাকে যে ডলারের দাম বাড়বে, কিন্তু সবাই যদি বিয়ারিশ (সেল) মুডে থাকে, সেখানে আপনি কিছুই করতে পারবেন না।


এটা আপনার ওপর নির্ভর করে আপনি কিভাবে মার্কেট সেন্টিমেন্ট বুঝবেন, এটা বুল্লিশ না বিয়ারিশ। পরবর্তীতে এ সম্পর্কে আরও আলোচনা করা হবে। এটা আপনার ওপরই নির্ভর করে যে আপনি আপনার ট্রেডিং স্ট্রাটেজিতে মার্কেট সেন্টিমেন্টকে যুক্ত করবেন কিনা।
আপনি যদি মার্কেট সেন্টিমেন্টকে উপেক্ষা করতে চান, করতে পারেন। কিন্তু তা আপনার জন্য শুধু লসই বয়ে আনবে।

টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস

টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসে ট্রেডাররা প্রাইসের মুভমেন্টের ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করে।
মুল বিষয় হল একজন ট্রেডার পূর্বের প্রাইস মুভমেন্ট দেখতে পারে, বর্তমানের প্রাইস মুভমেন্ট বুঝতে পারে এবং ভবিষ্যতের প্রাইস কেমন হবে সে সম্পর্কে ধারনা অর্জন করতে পারে।
আপনার চার্টে পূর্বের সকল প্রাইসের মুভমেন্ট চার্ট আকারে দেয়া থাকবে। তাই আপনি চাইলেই পূর্বে কি হয়েছিল তা দেখতে পারবেন। আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন, "ইতিহাস বারবার প্রতিফলিত হয়"?
টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস এমনই। পূর্বে যা ঘটেছিল, আমরা আশা করেতে পারি হয়তো ভবিষ্যতেও তাই ঘটতে পারে। যদি কোন প্রাইস লেভেল পূর্বে সাপোর্ট বা রেসিসটেন্স হিসেবে কাজ করে থাকে, তবে ট্রেডারদের চোখ থাকবে সেই দিকে এবং তারা তার ওপর ভিত্তি করে তাদের ট্রেড করবে।
টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে আমরা একই প্যাটার্ন মেলানোর চেষ্টা করি যা পূর্বে ঘটেছিল। এবং যেহেতু তা পূর্বে ঘটেছিল, তাই আমরা আশা করবো এবারও হয়ত আগের মত একই জিনিস ঘটতে পারে।


কেউ যখন টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস কথাটি বলে, তখন আমাদের মনে সর্বপ্রথম যে কথাটি আসে তা হল চার্ট। টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসে চার্ট ব্যবহার করা হয় কারন চার্টের মাধ্যমেই হিস্টোরিকাল ডাটা সবচেয়ে সহজে উপস্থাপন করা যায়।
আপনি ট্রেন্ড এবং প্যাটার্ন বোঝার জন্য চার্টে পূর্বের ডাটাগুলো দেখতে পারেন যা কিনা আপনাকে কিছু ভাল ট্রেডের সুযোগ এনে দিতে পারে। প্রাইস প্যাটার্ন, ইন্ডিকেটরের সিগন্যাল আপনাকে মার্কেট সম্পর্কে ভাল আইডিয়া পেতে সাহায্য করতে পারে।
টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস বিষয়টা নির্ভর করে আপনি কিভাবে অ্যানালাইসিস করবেন।
জনি এবং রনি হয়তো একই চার্ট এবং ইন্ডিকেটর দেখে অ্যানালাইসিস করবে, কিন্তু তারা হয়তো একই রকম ট্রেডের আইডিয়া পাবে না, ভিন্ন ভিন্ন ট্রেডের আইডিয়া পেতে পারে।
আসল কথা হল আপনাকে টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের মূল কনসেপ্ট ভালভাবে জানতে হবে। আমাদের ফিবোনেসি, বোলিঙ্গার ব্যান্ড, পিভট পয়েন্ট, মুভিং এভারেজ ইত্যাদির কাজ সম্পর্কে জানতে হবে।
এখন হয়তো আপনি ভাবছেন যে ফরেক্স ট্রেডাররা অনেক স্মার্ট। তারা ফিবোনেসি, বোলিঙ্গার ব্যান্ডের মত স্মার্ট নাম জানে। যেহুতু আপনি ফরেক্স ট্রেড শুরু করেছেন, তাই হয়তো আপনি ইতিমধ্যে ফেসবুকে আপনার নাম পরিবর্তন করে এখন ফিবোনেসি তানভীর কিংবা বোলিঙ্গার রাহাত রাখার কথা চিন্তা করা শুরু করে দিয়েছেন।
পরবর্তীতে টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের বিভিন্ন ইন্ডিকেটর, সাপোর্ট-রেসিসটেন্স, পিভট পয়েন্ট ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
 

ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস

অর্থনৈতিক, সামাজিক অথবা রাজনৈতিক ইত্তাদির ওপর ভিত্তি করে যে অ্যানালাইসিস করা হয় তাই ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস।
ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিসে আপনাকে লক্ষ্য করতে হবে যে কোন দেশের অর্থনীতি ভাল করছে এবং কোন দেশের অর্থনীতি খারাপ দিকে যাচ্ছে। বেকারত্বের পরিমান বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন ইভেন্ট কিভাবে কেন এবং কিভাবে দেশের অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখে এই সকল বিষয় গুলো ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিসে আপনাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
কোন দেশের বর্তমান অথবা ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অবস্থা যদি ভাল হয়, তবে ঐ দেশের কারেন্সি শক্তিশালী হবে। একটি দেশের অর্থনীতি যত ভাল হবে, বিদেশি বিনিয়োগকারিরা তত ঐ দেশি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে। সুতরাং তাদের ঐ দেশের কারেন্সি কিনতে হবে এবং ঐ দেশের কারেন্সির ভ্যালু আরো বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের অরথনিইতিক অবস্থা যদি আরও ভাল হত তবে আরও বিদেশি বিনিয়গকারি এই দেশে বিনিয়োগ করতে ও ব্যবসা সম্প্রসারন করতে আগ্রহী হত। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের টাকার ভ্যালু অনেক বেরে জেত। অন্যান্য কারেন্সির ক্ষেত্রেও একই রকম।
এক কথা ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস হলঃ



  • দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল = কারেন্সির ভ্যালু বেশী
  • দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ = কারেন্সির ভ্যালু কম
ধরা যাক ইউ. এস. ডলার শক্তিশালী হচ্ছে কারন আমেরিকার অর্থনীতি আগের থেকে ভাল করছে। তাহলে তাদের মুদ্রাস্ফীতি (inflation) নিয়ন্ত্রন করার জন্য ইন্টারেস্ট রেট বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে।
অধিক ইন্টারেস্ট রেট ডলার নির্ভর অর্থনৈতিক সম্পদগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। তাই কেউ যদি ঐসব সম্পদ কিনতে চায় বা বিনিয়োগ করতে চায়, তবে প্রথমে তাদের ডলার কিনতে হবে। আর তার ফলেই ডলারের ভ্যালু বৃদ্ধি পাবে।
পরবর্তীতে ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিসের অন্য আর্টিকেলগুলোতে আপনি জানতে পারবেন বিভিন্ন নিউজ, তাদের ইফেক্ট এবং কিভাবে সেগুলো বুঝে ট্রেড করতে হয় এই সম্পর্কে।

মার্কেট অ্যানালাইসিস

প্রাইস বাড়বে কি কমবে তা জানার জন্য আপনাকে অ্যানালাইসিস করতে হবে। অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে আপনি ট্রেড করার সঠিক আইডিয়া পেতে পারেন। অ্যানালাইসিস মূলত ৩ প্রকারঃ
  • ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস (Fundamental Analysis)
  • টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস (Technical Analysis)
  • সেন্টিমেন্টাল অ্যানালাইসিস (Sentimental Analysis)
আপনি প্রশ্ন করতে পারনে কোন ধরনের অ্যানালাইসিস ভাল? কিন্তু ৩ ধরনের অ্যানালাইসিসই গুরুত্বপূর্ণ।
 
 
এটা অনেকটা ৩ পা-ওয়ালা একটি টুলের মত। যদি এর কোন একটি পা ভেঙ্গে যায়, তাহলে টুলটি ভেঙ্গে যাবে এবং আপনিও মাটিতে পড়ে যাবেন। ফরেক্সের ক্ষেত্রেও আপনার কোন একটি অ্যানালাইসিস যদি দুর্বল হয়, তবে তা আপনার ব্যাপক লসের কারন হতে পারে। তাই সব ধরনের অ্যানালাইসিসই জরুরি।

ট্রেডার হওয়ার ৫টি ধাপ

ট্রেডার হওয়ার ৫টি ধাপ
The learning cycle for a newbie trader


ধাপ -১ (অচেতনে অযোগ্যতা) 
এটা হল প্রথম ধাপ যখন আপনি সবেমাত্র ফরেক্স সম্পর্কে জানতে শুরু করেছেন। আপনি জানেন যে

ফরেক্স অর্থোপার্জনের একটা সহজ রাস্তা, কারন আপনি ফরেক্স সম্পর্কে অনেক কথা শুনেছেন যে ফরেক্স

ট্রেড পারলে টাকা আয় করা কোন ব্যাপার নয়। তাই দুর্ভাগ্যবশত আপনি মনে করবেন এটা অনেক

সহজ, ঠিক আপনার প্রথম গাড়ি চালানো শিখার ইচ্ছার মত যেটা আপনি মনে করেছেন সহজ হবে, সবচেয়ে বড় কথা আর কত কঠিনইবা হবে?
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আপনি অনেক বেশী ট্রেড করবেন এবং প্রচুর রিস্ক নিবেন, ঠিক যেমন আপনি গাড়ির স্টিয়ারিং হুইলের সামনে প্রথম হাত রেখেছিলেন কিন্তু জানতেন না যে আপনি কি করছেন। যখন আপনি একটা ট্রেড করবেন এবং সেটা আপনার বিপক্ষে যাবে, তখন আপনি সেটা ক্লোজ করে বিপরীত ট্রেড নিবেন এবং সেটাও বিপক্ষে যাবে এবং এরকম হতেই থাকবে।

আপনার শুরুর দিকে কিছু প্রাথমিক সাফল্য থাকতে পারে, কিন্তু সেটা আপনার জন্য আরো খারাপ হবে, কারণ সেটা আপনার ব্রেইনকে বলবে যে ফরেক্স তো আসলেই সহজ এবং তার ফলে আপনি আরো বেশি রিস্ক নিতে শুরু করবেন।

আপনি আপনার প্রতিটা লস পূরণের জন্য ট্রেড সাইজ আগের তুলনায় দ্বিগুণ করে দিবেন । তাতে মাঝেমাঝে কাজ হবে কিন্তু বেশিরভাগ সময় আপনার একাউন্টের ক্ষতি হবে। আপনি আপনার অযোগ্যতা সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে অন্যমনস্ক থাকবেন।

এই প্রথম ধাপ সাধারণত এক-দু সপ্তাহ স্থায়ী হবে।
 
ধাপ ২ - সচেতনে অযোগ্যতা

দ্বিতীয় ধাপে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি যেমনটি ভেবেছেন ফরেক্স আসলে ঠিক তেমনটি নয় , এখানে আপনাকে আরো বেশি কাজ করতে হবে। আপনি সচেতনভাবে বুঝতে পারবেন যে আপনার রেগুলার প্রফিট করার মত যোগ্যতা বা জ্ঞান নেই।

এরপর আপনি ইউএসএ থেকে ইউক্রেন দুনিয়ার বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঘোরাঘুরি শুরু করবেন , বিভিন্ন সিস্টেম এবং ইবুক দেখবেন , এবং সর্বোপরি হোলী গ্রেইল খোজা শুরু করবেন। এই সময় আপনি হয়ে যাবেন একজন "সিস্টেম যাযাবর"। আপনি একটা ট্রেডিং মেথড ঠিকমত কাজ করে কিনা ভাল করে পরীক্ষা না করে দিনের পর দিন এবং সপ্তাহের পর সপ্তাহ একটি ট্রেডিং মেথড থেকে আরেকটি দেখতে থাকবেন। যখনি আপনি নতুন একটা ইন্ডিকেটর দেখবেন আপনি ভাববেন এটাই আপনার পুরো ট্রেডিং পাল্টে দিবে এবং আপনাকে রেগুলার প্রফিট এনে দিবে।

আপনি মেটাট্রেডারে এক্সপার্ট এডভাইসর টেস্ট করতে থাকবেন। আপনি মুভিং এভারেজ, ফিবোনেসি লাইন, সাপোর্ট-রেসিসট্যান্স, পিভট, ফ্র্যাক্টাল, Divergence, DMI, ADX এরকম শতশত ইন্ডিকেটর নিয়ে খেলা করতে থাকবেন শুধু এই আশায় যে আপনার ম্যাজিক সিস্টেম আজই শুরু হয়ে যাবে। আপনি ইন্ডিকেটর দিয়ে সঠিক রিভার্সাল পয়েন্ট খোজার আশায় টপ & বটম ধরার চেষ্টা করবেন। শেষমেষ দেখবেন আপনি পরাজিত ট্রেডের পিছনে ছুটতেই থাকছেন এমনকি নতুন করে ট্রেড যোগ করছেন কারণ আপনি জানেন আপনি সঠিক।

আপনি বিভিন্ন লাইভ চ্যাট রুমে যাবেন এবং দেখবেন অন্যান্য ট্রেডাররা অনেক পিপস লাভ করছে । আপনি ভাববেন আপনি কেন পারছেন না। আপনি মিলিয়ন মিলিয়ন প্রশ্ন করতে থাকবেন যার মধ্য কতগুলো এমন প্রশ্ন যে যেগুলো দেখে চ্যাটরুমের অন্যান্য মানুষজন আপনাকে মূর্খ মনে করবে। অবশেষে আপনার মনে হবে যে ঐসব ট্রেডাররা যারা পিপসের পর পিপস লাভ করছে তারা মিথ্যা কথা বলছে এবং নিশ্চয়ই ডেমো অ্যাকাউন্টের স্ক্রীনশট দিচ্ছে। কারণ আপনি ফরেক্স সম্পর্কে গবেষণা করেছেন, আপনি ঐসব সফল ট্রেডাররা যা জানে তার সবই জানেন, কিন্তু আপনি লাভ করছেন না , তার মানে ঐসব ট্রেডাররা মিথ্যা বলছে। কিন্তু তারা দিনের পর দিন ফরেক্স ট্রেড করছে এবং তাদের একাউন্ট ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে যেখানে আপনার একাউন্ট শুধুই হ্রাস পাচ্ছে।

আপনি টিনএজারদের মত হবেন। টিনএজারদের সবাই ফ্রি উপদেশ দেয় কিন্তু কেউ শোনেনা। আপনাকেও সবাই উপদেশ দিবে ফরেক্স সম্পর্কে, কিন্তু আপনি আপনার মত একগুঁয়ে থাকবেন এবং ভাববেন আপনি তো সবই জানেন। আপনি আপনার মত বেশি বেশি ট্রেড করতে থাকবেন। আপনি অন্যান্য সফল ট্রেডারদের সিগন্যাল ফলো করবেন। কিন্তু যখন সেটা কাজ করবে না তখন আপনি অন্যান্য সিগন্যাল প্রোভাইডার থেকে কিনে সিগন্যাল ব্যবহার করতে চাইবেন। সেটাও আপনার জন্য কাজ করবে না।

আপনি কিছু "গুরু"র কাছে যাবেন যারা আপনাকে প্রফেশনাল ট্রেডার বানিয়ে দিতে রাজী হবে, অবশ্যই কিছু ফি এর বিনিময়ে। সেই গুরু ভাল হোক বা না হোক আপনি কিছুই শিখতে পারবেন না কারণ সময়ের কোন বিকল্প নেই, এবং আপনি এখনো মনে করে আছেন আপনি সবই জানেন।

এই ধাপ বছরের পর বছর স্থায়ী হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য ট্রেডারদের সাথে কথা বলা নিশ্চিত করে এই ধাপ সহজেই ১ বছর থেকে ৩ বছরের কাছাকাছি স্থায়ী হতে পারে। এই ধাপে আপনি নিছক হতাশার কারণেও ফরেক্স ট্রেডিংকে বিদায় জানাতে পারেন।

৬০% এর মত নতুন ট্রেডার প্রথম ৩ মাসেই ফরেক্সকে বিদায় জানাবে, এবং এটি ভাল। একবার ভাবুন, ট্রেডিং যদি এতই সোজা হত তবে আমরা সবাই সহজেই মিলিয়নিয়ার হয়ে যেতাম । অন্য ২০% এক বছরের মত যাবে এরপর হতাশার কারণে অতিরিক্ত রিস্ক নিয়ে তাদের একাউন্ট উড়িয়ে দিবে ।

যেটা আপনাকে আশ্চর্য করতে পারে সেটা হল বাকী ২০% ৩ বছরের মত টিকে থাকবে, এবং তারা ভাববে তারা নিরাপদ আছে। কিন্তু ৩ বছর পরেও শুধুমাত্র ৫-১০% চালিয়ে যাবে এবং ধারাবাহিকভাবে লাভ করতে থাকবে।

(বাই দ্য ওয়ে, এইসব ফিগার কিন্তু রিয়েল। এমন নয় যে আমার মাথায় এসেছে আর আমি লিখে গিয়েছি। তাই যখন ৩ বছর হবে তখন ভাববেন না যে এখান থেকে সোজা আপনি সফল হয়ে যাবেন। আমার বহুলোকের সাথে এই ফিগারগুলো নিয়ে তর্ক হয়েছে। মজার ব্যাপার হল তারা কেউ ৩ বছরের বেশি সময় ধরে ট্রেড করছে না। যদি আপনি মনে করেন আপনি ভাল জানেন তাহলে কোন ফোরামে এমন কাউকে প্রশ্ন করুন যে ৫ বছর ধরে ট্রেড করছে। জিজ্ঞেস করুন ১০০% দক্ষ হতে কত সময় লেগেছে। সামান্য ব্যতিক্রম থাকতে পারে কিন্তু আমি এখনো এমন কাউকে দেখিনি। )

অবশেষে আপনি এই ধাপ থেকে উঠে আসতে শুরু করবেন। আপনি সম্ভবত আপনার প্রত্যাশার চাইতেও বেশি সময় এবং অর্থ শেষ করেছেন, আপনার ২-৩ টা লাইভ একাউন্ট জিরো হয়ে গেছে, কিন্তু ফরেক্স এখন আপনার রক্তে বহমান......ফরেক্স ইন দ্যা ব্লাড।

একদিন আপনি ৩য় ধাপে পৌছাবেন।

ধাপ ৩ - ইউরেকা !!

ধাপ ২ শেষের পথে আপনি বুঝবেন সিস্টেমে আসলে কোন সমস্যা নেই, যেটা আপনি মনে করেছিলেন। আপনি বুঝতে শুরু করবেন সিম্পল মুভিং এভারেজ দিয়েও টাকা কামানো সম্ভব যদি আপনি সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট প্রয়োগ করতে পারেন। আপনি সাইকোলজি নিয়ে বিভিন্ন ইবুক পড়তে শুরু করবেন এবং ঐসব বইয়ে বর্ণীত বিভিন্ন চরিত্র মেলাতে থাকবেন। অবশেষে ইউরেকা মোমেন্টে এসে পৌছাবেন।

এই ইউরেকা মোমেন্ট আপনার ব্রেইনে নতুন এক সংযোগ তৈরি করবে। আপনি হঠাৎ বুঝতে পারবেন আপনি কেন, পৃথিবীর কেউ মার্কেটের পরবর্তী ১০ সেকেন্ডে কি হবে সেটা অনুমান করতে পারবেনা, ২০ মিনিট তো পরের কথা।

এই বোধের কারণে আপনি অন্যরা কে কি বলে, এই নিউজ মার্কেটে কি প্রভাব ফেলবে বা ঐ ইভেন্ট কিরকম হবে সেগুলো চিন্তা করা বন্ধ করবেন। আপনি ট্রেড করবেন আপনার নিজস্ব মেথডে।

আপনি শুধু ১টা সিস্টেম নিয়ে কাজ করা শুরু করবেন যেটা আপনার সাথে যায়, আপনি খুশি হতে শুরু করবেন, এবং আপনার লস ডিফাইন করে দেয়া শুরু করবেন।

আপনি আপনার সিস্টেমে ভাল দেখায় এমন প্রতিটি ট্রেড নেয়া শুরু করবেন। যখন খারাপ ট্রেড হয় তখন আপনি আর রাগ করবেন না, কারণ আপনি বুঝবেন এটা আপনার দোষ নয়। আপনি তাড়াতাড়ি ট্রেড ক্লোজ করে দিবেন যখন বুঝবেন এটা খারাপ ট্রেড। আপনি বুঝবেন এরপরের ট্রেড অথবা তার পরের ট্রেড হয়তো ভাল হবে কারণ আপনি জানেন আপনার সিস্টেম কাজ করে।

আপনি ট্রেড টু ট্রেড রেজাল্ট দেখা বন্ধ করবেন এবং সাপ্তাহিক রেজাল্ট দেখা শুরু করবেন । কারণ আপনি জানেন ১ টা খারাপ ট্রেড ১টা সিস্টেম কে খারাপ বানায় না।

আপনি হঠাৎ বুঝবেন ট্রেডিং গেম হচ্ছে শুধু ১টা ব্যাপার নিয়ে, সেটা হল আপনার সিস্টেমের প্রতিটা ট্রেড নেয়ার শৃঙ্খলা এবং দৃঢ়তা, কারণ আপনি জানেন সম্ভাব্যতা আপনার পক্ষেই থাকবে।

আপনি ভাল মানি ম্যানেজমেন্ট , লেভারেজ ইত্যাদি ইত্যাদি সম্পর্কে শিখবেন এবং ১ বছর আগে আপনাকে যারা এই বিষয়ে শিখতে উপদেশ দিয়েছিল তাদের মনে করে মুচকি হাসবেন। আপনি তখন তৈরি ছিলেন না, কিন্তু এখন আপনি তৈরি। ইউরেকা মোমেন্ট তখনই আসবে যখন আপনি বুঝবেন যে আপনি মার্কেট সম্পর্কে অনুমান করতে পারবেন না।
 
ধাপ ৪ - সচেতনে যোগ্যতা

আপনি তখনই ট্রেড করছেন যখন আপনার সিস্টেম ট্রেড করতে বলছে। আপনি যত সহজভাবে লাভ করেন তেমন সহজভাবেই লস মেনে নেন। আপনি এখন আপনার উইনিং ট্রেডকে তাড়াতাড়ি ক্লোজ না করে শেষ পর্যন্ত রাখেন । আপনি জানেন আপনার সিস্টেম যতগুলো লস ট্রেড করে তারচেয়ে বেশি লাভজনক ট্রেড করে এবং যখন আপনার ট্রেড লসে যায় তখন আপনি ক্লোজ করে দেন (আগের মত আরো পজিশন অ্যাড না করে)।

আপনি এখন এমন এক পর্যায়ে যেখানে বেশিরভাগ সময় আপনার একাউন্ট Break Even হয় (লাভ লস সমান সমান)।. হয়ত এই সপ্তাহে ১০০ পিপস লাভ করলেন তো পরের সপ্তাহে ১০০ পিপস লস করলেন। এই পর্যায়ে আপনি টাকা হারাচ্ছেন না, আপনি Break Even করছেন। আপনি এখন জানেন আপনি ভাল ট্রেড গুলোই করছেন এবং চ্যাটরুমে আপনি অন্যান্য ট্রেডারদের সম্মান পাচ্ছেন এবং অনেককে সিগন্যালও দিচ্ছেন। আপনাকে এখনো অনেক পথ যেতে হবে এবং যতই আপনি সামনে এগুবেন ততই আপনি লস করার চাইতে লাভ বেশি করবেন।

আপনি দিন শুরু করবেন ২০ পিপস লাভ করে, কিন্তু পরক্ষনেই ৩৫ পিপস লস করবেন কিন্তু আপনার মানসিক অবস্থার কোন পরিবর্তন হবে না কারণ আপনি জানেন যে সে পিপস গুলো আবার ফিরে আসবে। আপনি এখন প্রতি সপ্তাহে ধারাবাহিক লাভ করতে থাকবেন , এই সপ্তাহে ২৫ পিপ্স তো পরের সপ্তাহে ৫০ পিপস এভাবেই যেতে থাকবে।

এই ধাপ ৬ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়।


ধাপ ৫ - অচেতনে যোগ্যতা

এখন আপনি ড্রাইভিং করছেন। প্রতিদিন আপনি আপনার চেয়ারে বসেন এবং ট্রেড করেন। আপনি এখন সব করেন অচেতনভাবে। আপনি এখন অটো পাইলট চালাচ্ছেন। আপনি এখন বড় ট্রেড করছেন । দিনে ২০০ পিপস লাভ করা কিংবা ১ পিপ লাভ করা সমান, কোনটাই আপনার কাছে কোন আনন্দ/উচ্ছাস তৈরি করতে পারে না।

আপনি এখন ফোরামে দেখেন নতুনরা চিৎকার করছে "Go Dollar GO" যেন তারা ঘোড়ার রেসে বাজী ধরেছে , এদের মাঝে আপনি অনেক বছর আগের নিজেকে ফিরে পান।

এটা হল ট্রেডিং এর কল্পনারাজ্য। আপনি আপনার অনুভুতি আয়ত্ত করেছেন, এবং আপনি এখন এমন একজন ট্রেডার যার একাউন্ট প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

আপনি এখন ট্রেডিং চ্যাট রুমের স্টার এবং অন্যান্য ট্রেডাররা আপনি কি বলছেন সেটা শোনে। আপনি তাদের প্রশ্নের মাঝে অনেক বছর আগের নিজের করা প্রশ্নগুলোই ফিরে পান। আপনি আপনার মত উপদেশ দিতে থাকেন, কিন্তু জানেন কেউ আপনার উপদেশ শুনবে না, কারণ তারা বেশিরভাগই সেই একগুঁয়ে - টিনএজার। তাদের কেউ কেউ আপনার অবস্থানে আসবে, কেউ দ্রুত, কেউ দেরীতে। সাধারণত এদের ডজনের পর ডজনই ধাপ ২ অতিক্রম করতে পারবে না, শুধু কয়েকজন বাদে।

ট্রেডিং এখন আপনার কাছে কোন উচ্ছাস/আনন্দের কিছু নয়, বরং কিছুটা বিরক্তিকর, যেমন আপনি আপনার বর্তমান চাকুরী/পড়ালেখা আপনার বিরক্তিকর লাগে তেমনই ট্রেডিংও বিরক্তিকর হয়ে উঠে। আপনি আপনার জব করছেন।

আপনি এখন আপনার সিস্টেম শান দিচ্ছেন কিভাবে কম রিস্কে বেশি প্রফিট আনা যায়। আপনার সিস্টেম পরিবর্তন হচ্ছে না, শুধু দিনের পর দিন ভাল হচ্ছে।

আপনি এখন মাথা তুলে বলতে পারেন "আমি একজন কারেন্সি ট্রেডার", কিন্তু সত্যি বলতে আপনার করতে ইচ্ছা করবে না , কারণ এটা আপনার কাছে অন্য যেকোন জবের মতই লাগবে।

আমার মনে হয় আপনার এই "একজন ট্রেডারের মনের ভিতরের ভ্রমণ" আনন্দদায়ক হয়েছে এবং হয়তো আপনার নিজের কোন পয়েন্ট এখানে খুজে পেয়েছেন।

মনে রাখবেন , শুধুমাত্র ৫% ট্রেডারই টিকে থাকতে পারবে। এটার কারণ যোগ্যতা নয়, টিকে থাকার শক্তি। টিকিয়া থাকাটাই বড় সার্থকতা। অতিকায় হস্তি লোপ পেয়েছে, কিন্তু ক্ষুদ্র তেলাপোকা এখন টিকিয়া আছে।

তারাই লুজার হয় যারা খুব দ্রুত বড়লোক (get rich quick) হতে চেয়েছে।

আমি খুশিমনে বলতে পারি যে 'get rich quick' এই আশায় আমিও ট্রেডিং শুরু করেছিলাম , কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি ট্রেডিং হচ্ছে 'get rich slow'।

আপনি যদি ফরেক্স ছেড়ে দিতে চান তবে আপনাকে একটা উপদেশ দিতে পারি -

আপনি নিজেকে জিজ্ঞেস করুন - "আপনি কত বছর স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেন যদি জানতেন শেষে আপনার জন্য বছরে মিলিয়ন ডলার বেতনের একটা চাকরী অপেক্ষা করছে?


একজন ফরেক্স ট্রেডারের আত্মকাহিনী

অয়ন একজন ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি নেটে টুকটাক কাজ করে। সে অনেক দিন থেকেই ফরেক্সের কথা শুনেছে, কিন্তু কোন বিস্তারিত আইডিয়া নেই। অনেক জায়গায় বিজ্ঞাপন দেখেছে $১০০ ডিপোজিট করলে মাসে $১০০০ আয়ের নিশ্চয়তা। তাই সে সিদ্ধান্ত নিল সে ফরেক্স করবে।
ফরেক্স কিভাবে করা যায়? এক ব্লগে দেখল জাফর নামে একজন একটি ব্লগ পোস্ট করেছে "ফরেক্স শিখুন, আনলিমিটেড আয় করুন", তা দেখে তো অয়ন খুশী হল। ভাবল এবার তার কাছে নিশ্চয়ই ফরেক্স শেখা যাবে। পোস্ট থেকে জাফরের ফোন নাম্বার নিয়ে ফোন করল। জাফর বলল, ফরেক্স অনেক কঠিন। কিন্তু আমরা অনেক এক্সপেরিয়েন্সড ট্রেডার। আমরা আপনাকে সিগন্যাল দিয়ে সাহায্য করব। আপনাকে আমাদের রেফারেল দিয়ে $১০০০ ডিপোজিট করতে হবে। আয়ন তারপর ডেমো অ্যাকাউন্ট ওপেন করল। ২-৩ দিন ট্রেড করে দেখল ভালই লাভ হচ্ছে। তারপর সে ভাবল এখন রিয়েল ট্রেড শুরু করে দেয়া দরকার। বড়লোক হবার আর বেশী দেরি নেই।
অনেক কষ্টে বাসা থেকে $১০০০ কেনার মত টাকা জোগাড় হল। ফরেক্সে $১০০০ ডিপোজিট করল জাফর ভাইয়ের আন্ডারে। ডিপোজিট করার পর জাফর ভাইকে ফোন করলে তিনি আর ধরছেন না। ডিপোজিট করা শেষ, এখন ফোন ধরার কি প্রয়োজন, অয়ন ট্রেড করলে তিনি তো কমিশন পাবেনই। আয়ন এরপর ভাবল নিজেই ট্রেড করবে। বেবিপিপস পড়ে এবং ইন্টারনেট থেকে সে শিখল সব সময় কোন রিস্ক নিয়ে ট্রেড করতে হবে, লোভ করা যাবে না, অ্যানালাইসিস করতে হবে। ভাবল এই জিনিস গুলো তো সে জানত না!!
শুরু হয়ে গেল আয়নের ট্রেডিং। প্রথম দিন ০.০১ স্ট্যান্ডার্ড লটে ১০ সেন্ট পিপস পিপস ভ্যালু দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করল। প্রথম ট্রেডেই ১০০ পিপস প্রফিট। $১০০০ থেকে $১০১০ হয়ে গেল। ২য় ট্রেডে আবার $১২ ডলার প্রফিট। ইন্ডিকেটর দেখে ট্রেড করছে, স্টপ লস, টেক প্রফিট ব্যবহার করছে। এভাবে ১০টা ট্রেড করল। ৩টা লস, ৭ টাতে প্রফিট। ৩ দিনে ব্যালেন্স এখন $১০৯৫।
নতুন চিন্তা আসলো আয়নের মাথায়। লাভ তো হচ্ছে। ০.০১-০.০২ লটে সে ট্রেড করছে এখন। লট সাইজ তা যদি একটু বাড়ানো যেত, লাভটা আরও বেশী আসতো। সবাই প্রতিদিন কয়েকশো ডলার লাভ করে আর সে কিনা মাত্র $৯৫ ডলার লাভ করেছে ৩ দিনে? এবার থেকে সে ০.০৫ লটে ট্রেড শুরু করে দিল। প্রথম ট্রেডেই $২৫ লস। ২য় ট্রেডে অবশ্য $৫০ লাভ হল। তারপরের ট্রেডে $৩০ ডলার। লাভ বেড়েই চলেছে। আয়ন এবার লট সাইজ ডাবল করে দিল। পার পিপস $১ করে। ১ দিনেই $২৩০ লাভ করে ফেলল। তারপরের ১ সপ্তাহে লাভ লস মিলিয়ে ব্যালেন্স $২৫০০ হয়ে গেছে। এখন আয়ন আরও বেশী রিস্ক নিয়ে ট্রেড করে। মাঝে মাঝে $৫ পিপস ভ্যালু দিয়েও স্ক্যাল্পিং করে। ৩ সপ্তাহের মাথায় আয়নের ব্যালেন্স $৩২০০ হল। আয়ন নিজের পারফরমেন্স নিয়ে সন্তুষ্ট। ফরেক্স অনেক সহজ, কে বলেছে এত অ্যানালাইসিস লাগে? বেড়ে গেলে সেল দিলেই হয়, আবার কমে গেলে বাই। সহজ!!!
NFP নিউজ। আয়ন ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস করে না। স্টপ লসও ব্যবহার করে না। এইসব নিউজ গুলো কোন কাজে আসে না। বরং মার্কেটে যে ভোলাটিলিটি সৃষ্টি হয়, তাতে ভাল স্ক্যাল্পিং করা যায়। আয়ন ০.৫ লট ($৫ পিপস ভ্যালু) দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করলো EURUSD বাই। হঠাৎ স্পাইকের কারনে মার্কেট ৯০ পিপস পরে গেল। আয়নের যেহুতু এসব ব্যাপারে অভিজ্ঞতা নেই, সে ভাবল নিশ্চয়ই মার্কেটে কিছু একটা হয়েছে। ভাবল প্রাইস তো একটু পরে বাড়বেই। সে ০.৫ লটে আরও একটি বাই ট্রেড ওপেন করল। মার্কেট এবার আরও পড়ছে। $৩২০০ থেকে আয়নের ইকুইটি এখন $১৫০০ ডলার। কি করবে বুঝতে পারছে না। যেহুতু প্রাইস কমছে, সে ভাবছে এতো তো কমার কথা না, একটু পরে প্রাইস আবার বাড়বে, তাই এখন যদি আরও ২টি ট্রেড ওপেন করা যায়, প্রাইস বাড়লে কম হলেও ব্যালেন্স $৫০০০ হয়ে যাবে। এবার ০.৫ লটে সে ২টি ট্রেড ওপেন করে দিব। প্রাইস একটু বাড়ল। দেখল ব্যালেন্স খুব দ্রুত রিকভার হচ্ছে। ইকুইটি এখন $২০০০ ডলার। সে কিছুটা আশান্বিত হল। হঠাৎ প্রাইস আরও ১০০ পিপস কমে গেল। আয়নের ৪টি ট্রেডই মারজিন কলের কারনে বন্ধ হয়ে গেল।

আয়নের ব্যালেন্স এখন $০.১০ মাত্র। নিজের কাজের কারনে সে অনুতপ্ত। কেন যে এট রিস্ক নিতে গেল? $৩২০০ থেকে যদি $১০০ আগে উইথড্র করে রাখতো। ইসস!!!
আবার ডিপোজিট করবে সে, একটু সাবধান হলে আর এটা হত না। পরবর্তীতে আরও সতর্ক থাকতে হবে তাকে। এবার $৫০০ কোনরকমে জোগাড় করল সে। ভাবল এবার একা ট্রেড করবে না, অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখল এখানে ফরেক্স শেখানো হয়। আয়ন সেখানে গিয়ে জায়েদ নামে এক ফরেক্স ট্রেডারের সাথে পরিচয় হল। তিনি নাকি অনেক অভিজ্ঞ ফরেক্স ট্রেডার, ৭ বছর থেকে ফরেক্স করেন, মাসে লাখ লাখ ডলার ফরেক্স থেকে লাভ করেন। তিনি বললেন, আমরা ফরেক্স সিগন্যাল দেই। মাসে ২৫০০ টাকা। ১০০% প্রফিট গ্যারান্টি। আয়ন ভাবল জায়েদ ভাইয়ের সাথে আগে কেন দেখা হলোনা? জায়েদ ভাই তাকে কিছু টেকনিক শিখিয়ে দিল। বলে দিল কখন স্টপ লস ব্যবহার না করতে। শুধু তারা যেভাবে বলে সেভাবে ট্রেড করতে হবে। আয়ন রাজি হল। আয়ন তার বন্ধু রাজকে বলল, দোস্ত আজ একজন জটিল ফরেক্স ট্রেডারের সাথে পরিচয় হল। জোশ ট্রেড করে। আমি এখন থেকে তার কাছ থেকে সিগন্যাল নিব। তার কাছে ভর্তি হয়েছি। রাজ বলল, যে মাসে লাখ লাখ ডলার আয় করে, সে কেন ২৫০০ টাকায় সিগন্যাল দেয়? তার কাছে তো ২৫০০ টাকা কোন টাকাই হবার কথা না। আয়ন এসব কথায় কান দিল না। রাত ৮ টায় জায়েদ ভাই ফোন দিয়ে বলল, ১.৪৬০০ তে একটা বাই দাও। EURUSD এবার ১.৫০০০ যাবে শিওর। আয়ন কথামত বাই দিল। সে মোটামুটি টেনশন ফ্রি। প্রোফেসনাল ট্রেডারের সিগন্যাল ফলো করছে, তার প্রফিট আর ঠেকায় কে? সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে EURUSD ১.৪৪৫২ তে। জায়েদ ভাইকে ফোন দিল, ভাই কি করব? জায়েদ ভাই বলল, এটা মার্কেটের সাধারন মুভমেন্ট, প্রাইস ১.৫০ তে যাবেই। তুমি বরং ওই প্রাইসে আরও ১টা বাই ট্রেড ওপেন করে রাখো আর আমার সিগন্যালের ওপর আস্থা রাখো। আর যদি ১.৪৩০০ তে যায়, তবে আরেকটা বাই করো। ২ দিন পর, প্রাইস ১.৪০৯৮ এ। জায়েদ ভাইয়ের সিগন্যালে আয়নের ব্যালেন্স আবার জিরো। আয়ন এখন আর ফরেক্স ট্রেড করে না।